• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন

গ্রেপ্তার হতে পারেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক : / ১১০ বার দেখা
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গাড়িতে করে পৌঁছান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদে যদি সার্টিফিকেট বাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে গ্রেপ্তার হতে পারেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক এই চেয়ারম্যান।

এর আগে সার্টিফিকেট বাণিজ্যে আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে আসে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি।

 

এ বিষয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান বলেন, হাজার হাজার সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী। এরপর চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে ওএসডি করা হয়।

 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদে যদি সার্টিফিকেট বাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কজেলের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

 

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয় বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

ডিবি সূত্র বলছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে৷ এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এছাড়া নাম আসছে বেশকিছু দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ