অজুর সময় পূর্ণ চেহারা অর্থাৎ এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত এবং কপালের চুলের গেড়া থেক থুতনি পর্যন্ত ধৌত করা ফরজ। চেহারার কোনো অংশ শুকনো থেকে গেলে অজু হবে না।
থুতনির নিচের অংশ চেহারার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই থুতনির নিচের অংশ অজুর সময় ধোয়া জরুরি নয়। থুতনির নিচের অংশ শুকনো থেকে গেলেও অজু হয়ে যাবে।
অজুর ফরজ কাজ চারটি। পুরো চেহারা ধোয়া, উভয় হাত কনুইসহ ধোয়া, মাথা মাসাহ করা এবং উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। অজুর এ চারটি ফরজের কথা কোরআনে এসেছে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡهَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসাহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সুরা মায়েদা: ৬)
১. অজুর নিয়ত করা।
২. বিসমিল্লাহ পড়া।
৩. উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা।
৪. মিসওয়াক করা।
৫. কুলি করা।
৬. নাকে পানি দেওয়া।
৭. রোজাদার না হলে ভালোভাবে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া।
৮. প্রতিটি অঙ্গ তিনবার ধৌত করা।
৯. দাড়ি খিলাল করা।
১০. আঙুলসমূহ খিলাল করা।
১১. পূর্ণ মাথা মাসাহ করা।
১২. উভয় কানের ভেতরে ও বাইরে মাসেহ করা।
১৩. মাথার সামনের অংশ থেকে মাসেহ শুরু করা।
১৪. গর্দান মাসেহ করা।
১৫. ধোয়ার সময় অঙ্গগুলোকে ঘষেমেজে ধোয়া।
১৬. একটি অঙ্গ শুকানোর আগেই পরের অঙ্গ ধোয়া।
১৭. অঙ্গগুলো ধোয়ার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। অর্থাৎ প্রথমে মুখমণ্ডল, তারপর হাত ধোয়া, এরপর মাথা মাসেহ করা এবং পা ধোয়া।
১৮. বাম হাত দিয়ে প্রথমে ডান হাত ধোয়া এবং বাম হাত দিয়ে প্রথমে ডান পা ধৌত করা।