বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুষ্ঠেয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় থাকা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে সহকারী পুলিশ সুপারদের এ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ করা হলেও হঠাৎ করেই তা স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে আজ রোববারের অনুষ্ঠেয় ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি অনিবার্য কারণবশত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে আজ দুপুর ১টায় আরএমপি সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ’
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুষ্ঠেয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ এবং প্যারেড পরিদর্শন করার কথা ছিল। এছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম এবং র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতেই রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। এরইমধ্যে এই সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়। আর কুচকাওয়াজ স্থগিত হওয়ার এরকম ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রায় এক মাস ধরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে পুলিশ একাডেমি কর্তৃপক্ষ। যার আমন্ত্রণপত্র গেল সপ্তাহেই বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের বিতরণ করা হয়েছিল।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজির বরাত দিয়ে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
জানা গেছে, পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এতে ছাত্রলীগের ৬২ জন নেতাকর্মী পুলিশে নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের এ কর্মকর্তারা ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সারদা পুলিশ একাডেমিতে যোগদান করেছিলেন। আর ৪০তম বিসিএস থেকে ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের মধ্য থেকে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে এবং এতে অনেক মেধাবী প্রার্থী তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।