সাহিত্য জগতে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান ক্যাং।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সুইডিশ একাডেমি তার নাম ঘোষণা করে।
সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্যের’ জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তার এসব সাহিত্যকর্মে পূর্বের যুগে সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতন এবং মানবজাতির ভঙ্গুরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে।
হান ক্যাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াঞ্জুতে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ বছর বয়স হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে রাজধানী সিউলে চলে আসেন তিনি। তার পরিবারও সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। এছাড়া গান ও সংস্কৃতির প্রতিও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন হান ক্যাং। যা তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ান এই লেখিকার সবচেয়ে আলোচিত সাহিত্যকর্ম হলো (২০০৭; ‘দ্য ভেজেটেরিয়ান’, ২০১৫)। এটি তিন খণ্ডে লেখা হয়েছে। এটিতে এক নারীর গল্প তুলে আনা হয়েছে। যিনি মাংস খেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর কীভাবে তার স্বামী, বাবা এবং অন্যান্যদের দ্বারা নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি পদক এবং ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পান। নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল। তার ইচ্ছা অনুসারে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয়া হয়। চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে যারা অবদান রাখেন তাদেরকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত।
বরাবরের মতই চিকিৎসা বিভাগের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে সোমবার চলতি বছরের নোবেল মৌসুম শুরু হয়। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার ওপর আলো ফেলার স্বীকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন এ বার চিকিৎসার নোবেল জিতেছেন। মঙ্গলবার ঘোষণা হয় পদার্থবিদ্যার নোবেল। যাদের গবেষণার মধ্য দিয়ে ‘মেশিন লার্নিং’ বা যন্ত্রকে শেখানোর পথ খুলে গিয়েছিল, সেই দুই বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের জন জে হপফিল্ড এবং কানাডার জেওফ্রে ই হিন্টন চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন।