• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

সরকারি স্কুলে ভর্তিতে ৬৮ শতাংশ কোটা

অনলাইন ডেস্ক : / ৮২ বার দেখা
আপডেট : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

সরকারি স্কুলে ভর্তিতে এবারও শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে লটারির মাধ্যমে। লটারি প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তাপূর্ণ হওয়ায় ভালো স্কুল পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। লটারির মাধ্যমে ভর্তিকে ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ কমানোর মাধ্যম বলা হলেও রয়েছে কোটা পদ্ধতি। এ কোটা পদ্ধতি বহাল থাকায় অসহায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তিতে ৬৮ শতাংশ কোটা বণ্টন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেক অভিভাবকের। বিশেষ করে যারা কর্মসূত্রে ঢাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তারা এ কোটা পদ্ধতি বাতিল চান।

তবে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবি, বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি এড়াতে ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা রাখা হয়। এতে শিশুরা নিজের আশপাশের এলাকার বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। বাকি অন্য কোটা খুবই কম।

ভর্তি নীতিমালায় দেখা গেছে, মোট শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। অর্থাৎ, স্কুলের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা যারা, তাদের সন্তানদের জন্য এ কোটা রাখা হয়। এ কোটায় ভর্তির জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হয়। অনেক সময় যারা ভাড়াটিয়া, তাদের এ প্রত্যয়নপত্র নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

রাজধানীর বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম গত বছর এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন বলে জানান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ কোটার ক্ষেত্রে অনেকে অনলাইনে জালিয়াতি করেন। ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অনলাইন আবেদনের সময় ক্যাচমেন্ট এরিয়া সুবিধাজনক এলাকা দেন। সন্তান লটারিতে টিকে গেলে তখন মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নেন। এটা এক ধরনের জালিয়াতি।’

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী বাকি যে ২৮ শতাংশ কোটা রয়েছে তার মধ্যে বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ। এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এক শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।

তাছাড়া দূর থেকে বদলি হয়ে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ আসন কোটায় সংরক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি কোটা সুবিধা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানরাও।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ